কবিতা :
অমলকান্তি আমার বন্ধু,
স্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।
রোজ দেরি করে ক্লাসে আসতো
পড়া পারত না,
শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলে
এমন অবাক হয়ে
জানলার দিকে তাকিয়ে থাকতো যে,
দেখে ভারী কষ্ট হত আমাদের।
আমরা কেউ মাষ্টার হতে চেয়েছিলাম,
কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি সে-সব কিছু হতে চায়নি।
সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল
ক্ষান্তবর্ষণ কাক-ডাকা বিকেলের
সেই লাজুক রোদ্দুর,
জাম আর জামরুলের পাতায়
যা নাকি অল্প-একটু
হাসির মতন লেগে থাকে।
গান :
এই পায়ে চলার পথে
ধুলোর রথে উড়ছে সবুজ সময়,
এক মুক্তি প্রতিম ঠোঁট
জ্বরের ঘোরে গাইছে আহত প্রলাপ।
প্রহরীর বেশে দুয়ার আটকে
কে বা কারা ?
পাতার ভাজে জীবন খুঁজে
রোদ ছন্নছাড়া।
যেখানেই স্বপ্ন আগন্তুক
ভীষণ সেখানেই মেলে দেয় পাখা,
যেখানেই সীমানার নেই প্রয়োজন
সেখানেই কাঁটাতার আঁকা।
তোমরা যখন রোদ চশমায়
কুড়োও খেয়ালে আঁধার,
এক আলোর পাখি আকাশ ভুলে,
অন্ধ খাঁচায় খোঁজে মিথ্যে আবাস।
কবিতা :
আমরা কেউ মাষ্টার হয়েছি,
কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।
সে এখন,
অন্ধকার একটা ছাপাখানায় কাজ করে।
মাঝে মধ্যে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে,
চা খায়, এটা-ওটা গল্প করে,
তারপর বলে, উঠি তাহলে
আমি ওকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি।
আমাদের মধ্যে যে এখন মাষ্টারি করে,
অনায়াসে সে ডাক্তার হতে পারত,
যে ডাক্তার হতে চেয়েছিল,
উকিল হলে তার এমন কিছু ক্ষতি হত না।
অথচ, সকলেরই ইচ্ছেপূরণ হল,
এক অমলকান্তি ছাড়া।
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।
সেই অমলকান্তি রোদ্দুরের কথা
ভাবতে-ভাবতে, ভাবতে-ভাবতে
যে একদিন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।
গান :
কিছু গল্প পড়ে থাকে
মলিন খেয়ালের দরজায়,
ভুল বিন্যাসই জীবন
এ সত্য আজন্ম মেনে নিতে হয়,
আলোকের ইশারায় তবু
প্রতিদিনই আসে ভোর,
আলোকের ইশারায় তবু
প্রতিদিনই আসে ভোর,
শুধু আলোর পাখিরা খুন হয়,
শুধু আলোর পাখিরা খুন হয়,
রোজ নিয়ত অবহেলায়
রোজ নিয়ত অবহেলায়
রোজ নিয়ত অবহেলায়।
মুক্তি লিরিক্স – শহরতলী ব্যান্ড :
Ei paaye cholar pothe
Dhulor rothe urche sobuj somoy
Ek mukti pratim thot
Jwarer ghore gaiche ahoto prolap
Prohorir beshe duar aatke
Ke ba kara
Patar vaje jibon khuje
Rod chonnochara